কবিতা- মনের সাধ

মনের সাধ
-পাপিয়া ঘোষ সিংহ

 

আমার যে খুব ইচ্ছে করে নদীর মতো চলি,
চলতে চলতে কলকলিয়ে মনের কথা বলি।
আবার কখন হয় যে মনে, ময়ূর হ’তাম যদি,
মেঘ পিয়া’র সামনে আমি নাচতাম নিরবধি।

যদি আমি পাখি হ’তাম, উড়ে যেতাম তোমার কাছে,
থাকতো না আর ভয় পিছুটান, দুষবে সমাজ পাছে।
না হয় আমি হ’তাম যদি লজ্জাবতী লতা,
তোমার ছোঁয়ায় না গুটিয়ে জাগত কথকতা।

হ’তাম যদি ঋতু আমি, প্রিয় আমার পিয়া’র,
পরশ দিতাম মিঠেল হাওয়ার, ফুলের মূর্ছনার।
না হয় ধরো বাগানে তোমার হ’তাম লাল গোলাপ,
পাপড়িগুলো শেখাতো তোমায় প্রেমের সংলাপ।

আমি যদি হ’তাম কোনো সমুদ্দুরের ঢেউ,
আছড়ে পড়লে বুকে তোমার, বকতো না তো কেউ।
তোমার জামার কাপড় হ’লে হোতো বড়ো ভালো,
জাপটে ধরে দিবানিশি, প্রেমের সুধা ঢালো।

আচ্ছা, আমি হ’তাম যদি তোমার গলার হার,
সুযোগ পেতাম দিনরাত্তির কন্ঠে ঝুলে থাকার।
হ’তাম যদি ভাষা তোমার, ঐ ঠোঁট আর চোখে
ভালোবাসি এই কথাটি, উঠতো ফুটে মুখে।

মনের সাধ পূরণ আমার হবে কি কখনও?
তোমার মনের ইচ্ছেগুলো হয় কি এমনতরো?
সাধ আমি সাধ্য করে দেখিয়ে দিতে পারি,
ভালোবাসা এমনই হয়, জোর যে তার ভারি।

Loading

Leave A Comment